শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
কোটার সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৬ জুলাই সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় মন্ত্রণালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। মোট চার দিনের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে। পরদিন ১৭ জুলাই সিটি করপোরেশন এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আন্দোলন-সহিংসতা ঘিরে সরকারের কারফিউ জারির পর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসছে। আজ বুধবার সীমিত পরিসরে ব্যাংক-অফিস খুলে দেওয়া হয়েছে। সীমিত পরিসরে চলছে গণপরিবহনও। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে সরকারি চাকরিতে কোটার প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে গতকাল রাজধানীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যত তাড়াতাড়ি শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট। আশা করতে পারেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাবে।
একই সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে জোর দিয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাসিক হল খুলে দেওয়া যাবে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
প্রাথমিক বিদ্যালয় কবে খুলবে
দেশের নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৬ জুন বুধবার খুলছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত জানায়। এখন প্রশ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় কবে খুলবে। নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কমানো হলেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি বহাল থাকছে। শিক্ষাপঞ্জি হিসেবে আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৩ জুলাই যথারীতি শুরু ক্লাস শুরু হবে।