আসসালামু আলাইকুম। আশা করি ভালো আছেন। প্রতিটি মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন আসছে যা হল সবে মেরাজ বা লাইলাতুল কদর। আজকে আমরা জানবো শবে মেরাজ কবে এবং শবে মেরাজ ২০২৪ কত তারিখে। চলুন নিম্নে থেকে জেনে নেই বিস্তারিত।
শবে মেরাজ: ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা শবে মেরাজ একটি ইসলামিক ঐতিহাসিক ঘটনা, যাতে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সশরীরে ও আত্মায় ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এই ঘটনাটি ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা মুসলমানদের জন্য একটি অনুপ্রেরণাস্বরূপ। মেরাজ শব্দের অর্থ মেরাজ একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ “উচ্চতায় আরোহণ করা” বা “উর্ধ্বাকাশে যাওয়া”। শবে মেরাজ শব্দের অর্থ “ঊর্ধ্বাকাশে যাওয়ার রাত”।
শবে মেরাজ কি ও কেন
এখন আমরা জানবো শবে মেরাজ কি ও কেন পালন করা হয়। আমরা অনেকেই জানি না তাই আমরা শবে মেরাজ সম্পর্কে তারা আজকে দেখে নিতে পারেন। লাইলাতুন বা শব অর্থ হলো- রাত আর মেরাজ অর্থ ঊর্ধ্বগমন। শবে মেরাজ বা লাইলাতুল মেরাজের অর্থ দাঁড়ায়- ঊর্ধ্বগমনের রাত। ‘রজবের’ ২৭ তারিখ নবুয়তের দশম বর্ষে নবী কারিম (স.)-এর ৫০ বছর বয়সে পবিত্র মেরাজ সংঘটিত হয়। (সূত্র: সিরাতে মোস্তফা: আশেকে এলাহি মিরাঠি, ও তারিখুল ইসলাম: মাওলানা হিফজুর রহমান সিহারভি) পবিত্র মেরাজের যাত্রা শুরু হয় মসজিদে হারাম থেকে। হজরত জিব্রাইল (আ.) বোরাকে করে নবীজিকে বায়তুল মোকাদ্দাস নিয়ে যান।
সেখানে তিনি দুই রাকাত নামাজ পড়েন। ওই নামাজে নবীজি (স.) সব নবীর ইমামতি করেন। এরপর ঊর্ধ্বাকাশে যাত্রা করেন। যাত্রাপথে প্রত্যেক আসমানে পূর্ববর্তী সম্মানিত নবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। এরপর সিদরাতুল মুনতাহা হয়ে আরশে আজিমে মহান আল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পবিত্র মেরাজের রাতে বিশ্বনবী (স.) স্বচক্ষে বেহেশত-দোজখ দেখেছেন।
সর্বোপরি মহান রবের সঙ্গে পবিত্র দিদার লাভ করাসহ অবলোকন করেছেন সৃষ্টিজগতের অপার রহস্য। নামাজের বিধান রচিত হয় এ রাতেই। মেরাজের ঘটনা থেকে মুমিন খুঁজে পায় সঠিক পথের দিশা, লাভ করে আল্লাহর অপার অনুগ্রহ ও দ্বীনের অবিচলতা। প্রিয়নবী (স.) যে আল্লাহ তাআলার কাছে কত দামি ও মর্যাদার অধিকারী, তা এ ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়। তাঁকে এমন মর্যাদা দান করা হয়েছে, যা অন্য কোনো নবীকে দান করা হয়নি। এ ঘটনার ফলে মুমিনের ঈমান মজবুত হয় এবং হৃদয়ে বিশ্বনবী (স.)-এর ভালোবাসা সুগভীর হয়।
শবে মেরাজ আরবি মাসের কত তারিখ
শবে মেরাজ কত তারিখে ২০২৪
- শব-ই-বরাত-২৬ ফেব্রুয়ারি, (সোমবার)।
- বিশ্ব ইজতেমা- ২-৪ ফেব্রুয়ারি ও ৯-১১ ফেব্রুয়ারি।
- শব-ই-মেরাজ- ৯ ফেব্রুয়ারি।
- রমজান -১১ মার্চ, (সোমবার,শাবান মাসের শেষে রমজানের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।)
- জুমাতুল বিদা- ৫ এপ্রিল, (শুক্রবার)।
- শব-ই-কদর- ৬ এপ্রিল, (শনিবার)।
- ঈদুল ফিতর- ১০ অথবা ১১ এপ্রিল, (বুধ-বৃহস্পতিবার, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে।)।
- ঈদুল আজহা- ১৬ অথবা ১৮ জুলাই, (রোববার-মঙ্গলবার, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে।)।
- হজ- চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ১৫ জুন থেকে শুরু হতে পারে।
- আশুরা – ১৭ জুলাই, (বুধবার)।
- ঈদে মিলাদুন্নবী- ১৬ সেপ্টেম্বর, (সোমবার)।
শবে মেরাজ 2024
ইসলাম ধর্মে লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত হলো এমন একটি রাত, যায় ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা:) একবারে ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেন এবং সৃষ্টিকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করেন। এই ঘটনা ইসলামিক ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এই রাতটি মুসলমানদের মধ্যে বিশেষ আদরের অবজ্ঞা প্রাপ্ত হয়।
অনেক মুসলমান এবাদত-বন্দেগির মধ্যে এই রাতটি উদযাপন করেন এবং এই রাতে নামাজ, দোয়া ও আমলের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট নিজেদের প্রার্থনা ও ইবাদতের সময় অতিরিক্ত আদর জানায়। এছাড়া, কিছু মুসলমান এই রাতে তাদের আত্মীয় ও পরিবারের সাথে ভাগ করে ভালোবাসা, করুণা, এবং সদয়তা প্রকাশ করার জন্য বিশেষ করে দান, সদকা, ও অন্যান্য ধর্মীয় আদত অনুষ্ঠান করে।
তবে, অনেক মুসলমান এই রাত উদযাপন করে না এবং এটি বিদআত বলে মনে করেন, কারণ এর জন্য স্পষ্ট প্রমাণ কাছে প্রদর্শন করা হয়নি। তবে, এমন মুসলমানরা আছে যারা এই রাতে কোনো বিশেষ আদর জানায় না।
শিক্ষক নিবন্ধন সম্পর্কিত সর্বশেষ তথ্য দেখুন
শিক্ষক নিবন্ধন ফলাফল দেখুন এখানে
সকল শিক্ষক নিবন্ধন পরিক্ষার প্রশ্নের সমাধান দেখুন
How to Check the NTRCA Written Result?