বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসা ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এর অংশ হিসেবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শূন্য পদের তথ্য এবং আগামী তিন বছরের মধ্যে আসন্ন শূন্য পদের চাহিদা অনলাইনে সংগ্রহ করার নির্দেশনা দিয়েছে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহের পর সেই পদগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। এরপর শূন্য পদ চূড়ান্ত করে পরবর্তীতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে, বর্তমানে শূন্য পদের সঠিক সংখ্যা এবং বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দিষ্ট সময় এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।
এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় সুপারিশের জন্য অনলাইনে শিক্ষকদের চাহিদা ও আগামী তিন বছরে (৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৬ এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৭) যেসব পদ শূন্য হবে, সেই পদগুলোর তথ্য ১০ নভেম্বরের মধ্যে অনলাইনে জমা দিতে হবে। চাহিদা পাঠানোর পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হবে।
ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় শূন্য পদে নিয়োগ সুপারিশের জন্য নিবন্ধনকৃত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে চাহিদা (e-Requisition) জমা দিতে হবে। পূর্বে জারি করা কোনো গণবিজ্ঞপ্তির অধীনে দেওয়া অনলাইনে চাহিদা আর বহাল থাকবে না। এ কারণে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ই-রিকুইজিশন জমা দেওয়ার শেষ তারিখের মধ্যে সব শূন্য পদের চাহিদা অনলাইনে পাঠানোর সুযোগ থাকবে। অফলাইন, হার্ডকপি বা ই-মেইল মাধ্যমে কোনো চাহিদা গ্রহণ করা হবে না।
ষষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশের জন্য অনলাইনে চাহিদা জমা দেওয়ার পাশাপাশি এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-রিকুইজিশনের সঙ্গে আগামী তিন বছরের সম্ভাব্য শূন্য পদের তালিকা জমা দিতে হবে। যদি তিন বছরের শূন্য পদের তথ্য প্রদান না করা হয়, তবে ই-রিকুইজিশন সাবমিট করা যাবে না।
প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা তাঁদের নিজস্ব ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে অথবা সাইটের ই-রিকুইজিশন সেবা বক্সের “ই-রিকুইজিশন লগইন” অপশনে ক্লিক করে e-Requisition প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করবেন। এরপর, তাঁরা অনলাইন ফরমটি পূরণ করে শুধু এমপিওভুক্ত শূন্য পদের চাহিদা অনলাইনে পাঠাতে পারবেন।
এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক গতকাল রোববার প্রথম আলোকে জানান, “ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শূন্য পদের চাহিদা এবং আগামী তিন বছরে যেসব পদ শূন্য হতে পারে, সেসব পদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এই তথ্যগুলো সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই করার পর আমরা জানাতে পারব মোট শূন্য পদের সংখ্যা। বর্তমানে, অনুমান করে শূন্য পদের সংখ্যা বলা সম্ভব নয়।”
ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি কখন প্রকাশিত হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেন, “শূন্য পদের তালিকা পাওয়ার পর আমরা মোট শূন্য পদ নির্ধারণ করে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করব। বর্তমানে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়নি। প্রথমে শূন্য পদের তালিকা আসবে, তারপর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।”