ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম | ঈদের দিন করণীয় ও বর্জনীয়

সুপ্রিয় পাঠক আসসালামুয়ালাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে এই পবিত্র সংযমের মাসে সকলেই ভালো এবং সুস্থ আছেন। মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে ঈদুল ফিতর অন্যতম। ঈদুল আযহার মত ঈদুল ফিতরের দিনেও মুসলিমগণ ঈদের নামাজ আদায় করে থাকে। পবিত্র রমজানের দীর্ঘ এক মাস যাবত সাওম বা রোজা রাখার পর ঈদের দিনে মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় করার নিয়ম রয়েছে।

আমাদের আজকের আর্টিকেলে আমরা, ঈদুল ফিতরের নামাজের সঠিক নিয়ম, ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ত, ঈদের দিনে করনীয় ও বর্জনীয়, ঈদুল ফিতরের নামাযের গুরুত্বসহ এই নামায বিষয়ক বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। চলুন এবার কথা না বাড়িয়ে চলে যাই আমাদের আজকের আর্টিকেলের মূল আলোচনায়।

আজকের আলোচ্য বিষয়

  • ঈদুল ফিতরের নামাযের তাৎপর্য ও গুরুত্ব
  • পুরুষদের জন্য ঈদুল ফিতরের নামাযের নিয়ম
  • মহিলাদের জন্য ঈদুল ফিতরের নামাযের নিয়ম
  • ঈদের দিনে করনীয় ও বর্জনীয়
  • ঈদের নামায সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর
  • আমাদের শেষ কথা

ঈদুল ফিতরের নামাযের গুরুত্ব ও তাৎপর্য 

ঈদুল ফিতরের নামাজ কেবলমাত্র একটি আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং এর রয়েছে গভীর তাৎপর্য এবং গুরুত্ব। নিচে এর তাৎপর্য ও গুরুত্বগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম।

ইদের নামাযের গুরুত্ব ও তাৎপর্য 

  • ইদের নামাযের মাধ্যমে মহান আল্লাহর প্রতি রমজানের দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনা পূর্ন করার উদ্দেশ্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়। 
  • ইদের নামায মুসলিম ভাইদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্যবোধ সৃষ্টি করে। এই নামাযের মাধ্যমে সমাজের সকল স্তরের মানুষের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ন সম্পর্ক তৈরি হয়ে থাকে।
  • ইদের নামায ইদের আনন্দকে দ্বিগুন করে তোলে। নতুন পোশাক পরিধান করে সকলের সাথে মিলিত হয়ে সালাত আদায় করার মাধ্যমে ইদের আনন্দ আরোও বেড়ে যায়।

সর্বোপরি বলা যায়, ঈদের নামায শুধুমাত্র এই ধর্মীয় কার্য নয় বরং এটি সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সাম্য ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে থাকে।

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম | ঈদের দিন করণীয় ও বর্জনীয়

পুরুষদের জন্য ঈদুল ফিতরের নামাযের নিয়ম

নিচে পুরুষদের জন্য ঈদুল ফিতরের নামা্যের সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরলাম।

  • গোসল: ঈদের নামায পড়ার পূর্বে সুন্দরভাবে গোসল করা সুন্নত।
  • পোশাক: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরা উচিত। পুরুষদের জন্য পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, টুপি, এবং জুতা পরা সুন্নত।
  • সুগন্ধি: সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত।
  • তাকবির: ঈদের সকালে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় থেকে ঈদেরগাহে পৌঁছানো পর্যন্ত তাকবির বলা উচিত। তাকবির বলার নিয়ম:

“আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদু।”

  • জামায়াতে নামায: ঈদের নামায জামায়াতে পড়া উচিত।
  • ঈদের খুতবা: ঈদের নামাযের পূর্বে ঈদের খুতবা শোনা উচিত।
  • নামাযের সময়: ঈদের নামায সূর্যোদয়ের পর অন্তত তিন কোর (প্রায় ৪৫ মিনিট) পর পড়া হয়।
  • নামাযের রাকা’ত: ঈদের নামায দুই রাকা’ত।
  • নামাযের কায়দা: ঈদের নামাযের নির্দিষ্ট কায়দা রয়েছে যা অন্যান্য নামাযের থেকে আলাদা।
  • ঈদের শুভেচ্ছা: ঈদের নামাযের পর একে অপরের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা উচিত।
  • আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা: ঈদের দিন আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করা এবং তাদের সাথে সময় কাটানো উচিত।
  • ভোজন: ঈদের দিন বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।
  • দান-খয়রাত: ঈদের দিন দান-খয়রাত করা উচিত।

ঈদের নামাজের নিয়ম:

  • নিয়ত: ঈদের নামাজের নিয়ত করতে হবে।
  • তাকবির: ঈদের নামাজ শুরু করার পূর্বে সাতবার তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলতে হবে।
  • তাহরিমা: তাকবীরের পর হাত বেঁধে রুকুতে যাবে এবং সূরাহ ফাতিহা ও অন্য কোন সূরাহ মিলিয়ে পাঠ করবে।
  • রুকু: রুকুতে যাওয়ার সময় ” সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম” বলতে হবে।
  • সিজদা: রুকু থেকে উঠে দুইবার সিজদা করবে এবং প্রতিটি সিজদায় “সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” বলতে হবে।
  • তাকবির: দ্বিতীয় সিজদা থেকে উঠে তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলবে।
  • চতুর্থ রাকাআত: চতুর্থ রাকাআতের জন্য দাঁড়াবে এবং পূর্বের মতো একই নিয়মে নামাজ আদায় করবে।
  • শেষ তাকবির: চতুর্থ রাকাআতের সালাম ফেরানোর পর পুনরায় ঈদের তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলবে।

মহিলাদের জন্য ঈদুল ফিতরের নামাযের নিয়ম

নিচে মহিলাদের জন্য ঈদের নামাযের নিয়ম সংক্রান্ত বিষয়গুলো তুলে ধরা হলো।

  • গোসল: ঈদের দিন সকালে সুবহে সাদিকের পর গোসল করা উচিত।
  • পরিচ্ছদ: পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করা উচিত।
  • সুগন্ধি: ঈদের দিন সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত।
  • ফিতরা: ঈদের নামাজের পূর্বে ফিতরা পরিশোধ করা ওয়াজিব।
  • সালাতের স্থান: ঈদগাহে যাওয়া ওয়াজিব নয়, তবে মসজিদে অথবা ঘরে জামায়েত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করা ফজিলত।

নামাজের নিয়ম:

  • নিয়ত: ঈদের নামাজের নিয়ত করতে হবে।
  • তাকবির: ঈদের নামাজ শুরু করার পুর্বে সাতবার তাকবীর (আল্লাহু আকবার) বলতে হবে।
  • তাহরিমা: তাকবীরের পর হাত বাঁধে রুকুতে যাবে এবং সূরাহ ফাতিহা ও অন্য কোন সূরাহ পাঠ করবে।
  • রুকু: রুকুতে যাওয়ার সময় ” সুবহানা রাব্বিয়াল আযীম” বলতে হবে।
  • সিজদা: রুকু থেকে উঠে দুইবার সিজদা করবে এবং প্রতিটি সিজদায় ” সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” বলতে হবে।
  • তাকবির: দ্বিতীয় সিজদা থেকে উঠে তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলবে।
  • চতুর্থ রাকাআত: চতুর্থ রাকাআতের জন্য দাঁড়াবে এবং পূর্বের মতো নিয়মে নামাজ আদায় করবে।
  • শেষ তাকবির: চতুর্থ রাকাআতের সালাম ফেরানোর পর ঈদের তাকবির (আল্লাহু আকবার) বলবে।

মহিলাদের জন্য ঈদের নামাযের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ দিকনির্দেশনা:

  • পর্দা: ঈদের নামাজের সময় মহিলাদের পর্দার বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
  • পুরুষদের সাথে মিশ্রণ: পুরুষদের সাথে মিশ্রণ না করে আলাদা সারিতে নামাজ আদায় করবে।
  • শব্দ: ঈদের নামাজের সময় উচ্চস্বরে তাকবির, দু’আ ও কুরআন পাঠ করা মহিলাদের জন্য বৈধ নয়।

ঈদের নামাজের ফজিলত:

  • ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভ করা যায়।
  • ঈদের নামাজে অংশগ্রহণকারীদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে।
  • ঈদের নামাজের মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পায়।

ঈদের দিনে করনীয় ও বর্জনীয়

চলুন এবার ঈদের দিনে করনীয় এবং বর্জনীয় কাজগুলো দেখে নেই।

ঈদের দিনে করনীয়;

  • ঈদের নামাজ আদায়: ঈদের নামাজ আদায় করা সকল প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ পুরুষদের জন্য ওয়াজিব এবং মহিলাদের জন্য সুন্নত।
  • সুগন্ধি ব্যবহার: ঈদের দিন সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত।
  • নতুন পোশাক পরা: ঈদের দিন নতুন বা পরিষ্কার পোশাক পরা সুন্নত।
  • সাদাকায়ে ফিতর: ঈদের দিন রমজান মাসের রোজার জন্য সাদাকায়ে ফিতর আদায় করা ফরজ।
  • গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা: ঈদের দিন গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা অত্যন্ত উত্তম।
  • আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা করা: ঈদের দিন আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সাথে দেখা করা এবং ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা সুন্নত।
  • খাওয়া-দাওয়া: ঈদের দিন পরিবার-পরিজন ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে খাওয়া-দাওয়া করা এবং আনন্দ-উৎসব পালন করা সুন্নত।

ঈদের দিনে বর্জনীয় কাজ:

  • রোজা রাখা: ঈদের দিন রোজা রাখা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ এবং হারাম।
  • গান বাজনা: ঈদের দিন গান বাজনা করা নিষিদ্ধ।
  • অশ্লীল পোশাক পরা: ঈদের দিন অশ্লীল পোশাক পরা নিষিদ্ধ।

ঈদের নামা্য সংক্রান্ত কিছু গুরুত্তপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

নিচে ঈদের নামায সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর সংযোজন করা হলো যা জানা সকলের জন্য জরুরি। 

প্রশ্ন ১। ঈদের নামায আদায় করা কি ওয়াজিব?         উত্তরঃ মুসলিমদের মধ্যে ঈদের নামাজের ওয়াজিব/সুন্নত হওয়ার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে। হানাফি, মালিকি ও হাম্বলি মতানুসারে ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। এর অর্থ হলো এটি না করলে গুনাহ হবে। শাফিঈ মতানুসারে ঈদের নামাজ সুন্নত মুয়াক্কাদাহ। এর অর্থ হলো এটি না করলে গুনাহ হবে না, তবে এটি আদায় করা অত্যন্ত উত্তম।

প্রশ্ন ২। ঈদের নামাযের ফরজ কয়টি?

উত্তরঃ হানাফি, মালিকি ও হাম্বলি মতানুসারে ঈদের নামাজের মোট ৫টি ফরজ রয়েছে:

  • নিয়ত: ঈদের নামাজের নিয়ত করতে হবে।
  • তাকবির: ঈদের নামাজ শুরু করার পূর্বে সাতবার তাকবীর অর্থাৎ আল্লাহু আকবার বলতে হবে।
  • কিয়াম: তাকবিরের পর হাত বেঁধে দাঁড়াতে হবে।
  • রুকু: কিয়ামের পর রুকুতে যেতে হবে এবং “সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ” বলতে হবে।
  • সিজদা: রুকু থেকে উঠে দুইবার সিজদা করতে হবে এবং প্রতিটি সিজদায় ” সুবহানা রাব্বিয়াল আলা” বলতে হবে।

প্রশ্ন ৩। ঈদের নামায মোট কয় রাকাত পড়ার নিয়ম রয়েছে?

উত্তরঃ ঈদের নামায মোট দুই রাকাত পড়ার নিয়ম রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রথম রাকাতের মতোই দ্বিতীয় রাকাতের নামায আদায় করতে হবে।

প্রশ্ন ৪। ঈদের নামায কয় তাকবীর?

উত্তরঃ হানাফি ও মালিকি মাযহাব মতানুসারে ঈদের সালাতের মোট ১২টি তাকবীর রয়েছে। 

প্রশ্ন ৫। ঈদের নামায আদায় করা কি সকলের জন্য ফরজ?

উত্তরঃ কোথাও ঈদের নামা্য আদায় করা ওয়াজিব এবং কোনো কোনো জায়গায় এটিকে সুন্নত বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে নিঃসন্দেহে এটি উত্তম ইবাদাতগুলোর মধ্যে একটি। 

প্রশ্ন ৬। ঈদের নামায না পড়লে কি গুনাহ হবে?

উত্তরঃ শাফিঈ মতানুসারে ঈদের নামা্য আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। যার অর্থ “পছন্দনীয় কাজ”। অর্থাৎ এটি আদায় না করলে গুনাহ হবেনা তবে আদায় করা উত্তম।

প্রশ্ন ৭। ঈদের নামাযের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কি কি?

উত্তরঃ ঈদের নামা্যের ক্ষেত্রে মনে রাখার মতো গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো হলো;

  • ঈদের নামায একটি ফরজ নামা্য।
  • ঈদের নামায জামায়াতে পড়া উত্তম।
  • ঈদের নামাযের নির্দিষ্ট কায়দা রয়েছে যা অন্যান্য নামাযের থেকে আলাদা।
  • ঈদের দিন আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করা এবং তাদের সাথে সময় কাটানো উচিত।
  • ঈদের দিন দান-খয়রাত করা উচিত।

প্রশ্ন ৮। ঈদের নামাযের ফযিলতগুলো কি কি?

উত্তরঃ ঈদের নামাযের নিম্নলিখিত ফযিলত রয়েছে।

ঈদের নামাজের ফজিলত:

  • ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও মাগফিরাত লাভ করা যায়।
  • ঈদের নামাজে অংশগ্রহণকারীদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ রয়েছে।
  • ঈদের নামাজের মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পায়।

আমাদের শেষ কথা

ঈদের নামা্য আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। অর্থাৎ এটি মহান আল্লাহতালার খুবই পছন্দনীয় আমলগুলোর মধ্যে একটি। তাই আমাদের উচিৎ এর মাধ্যমে মহান আল্লাহুতায়ালার রহমত, মাগফিরাত, নাজাত ও নৈকট্য হাসিল করার চেষ্টা করা। আমাদের আজকের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে শেয়ার ও কমেন্ট বক্সে আপনার মূল্যবান মতামত জানানোর অনুরোধ রেখে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।

ঈদুল ফিতরের নামাজের নিয়ম 2024

Check Also

চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী।

চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী।  

বাংলাদেশে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা।  চলতি সপ্তাহেই বাংলাদেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *