অমর একুশে বইমেলা অনুচ্ছেদ ২০২৪

কমরে কিছু বই মেলা হচ্ছে একটি আকর্ষণীয় মেলা যেখানে বিভিন্ন লেখকের বিভিন্ন ধরনের নতুন পুরাতন বই প্রদর্শিত হয় এবং বিক্রিও হয়। আজকে আমরা ২০২৪ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলা / একুশের বইমেলা অনুচ্ছেদ সম্পর্কে আলোচনা করতে যাচ্ছি। তোমরা অনেকেই ইনবক্সে কোমর একুশে বইমেলা অনুচ্ছেদ সম্পর্কে লেখার অনুরোধ করেছিলে। তো তাদের উদ্দেশ্যে নিম্নে অমর একুশে বই মেলা সম্পর্কে একটি অনুচ্ছেদ দেওয়া হল-

অমর একুশে বইমেলা অনুচ্ছেদ ২০২৪

অমর একুশে বইমেলা অনুচ্ছেদ ২০২৪

বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য অমর একুশে দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে বাঙালি জাতির অনেক স্মৃতি জড়িত রয়েছে। একুশে ফেব্রুয়ারি সংগ্রামী চেতনাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করা হয়। এর মধ্যে অন্যতম আয়োজন হলো মহান একুশে বইমেলা। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে এ মেলা চলে। বইমেলা উপলক্ষে বই বিক্রেতা ও প্রকাশকরা নানা সাজে বইয়ের স্টল বা দোকান সাজিয়ে বসেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের বইয়ের সমাহার ঘটে। বইমেলা উপলক্ষে প্রচুর নতুন বইমেলায় আসে। প্রতিষ্ঠিত লেখকদের পাশাপাশি নতুন লেখকদের বইও পাওয়া যায় এখানে।

প্রতিদিন বইয়ের আকর্ষণে বই প্রেমিক মানুষেরা মেলা প্রাঙ্গণে ছুটে আসে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি লেখক, ভাষাবিদ ও বরেণ্য ব্যক্তিত্বরা বইমেলায় আসেন। লেখক ও পাঠকদের মিলনমেলায় রূপ নেয় এই মেলা। এটি বাংলা একাডেমির একটি মহৎ উদ্যোগ। এ বইমেলার ফলে পাঠকরা এক জায়গা থেকে তাদের পছন্দের বই কিনতে পারে। এছাড়া বই কেনার প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহও তৈরি হয়। একুশের বইমেলা আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতিবোধ জাগ্রত করে। এ বইমেলা এখন আমাদের জাতীয় চেতনার সাথে সম্পৃক্ত।

সকল পরীক্ষার্থীদের জন্য একুশে বইমেলা অনুচ্ছেদ

বই মানুষের নিত্য দিনের প্রয়োজনীয় সঙ্গী। পূর্বে চেয়ে বর্তমানে বই পড়াও অনীহা অনেক। ডিজিটাল যুগে আমরা বই পড়া চেয়ে আনুষাঙ্গিক অপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ব্যস্ত থাকে অনেকেই।
প্রতিটি নাগরিকের জন্য একটি বই সীমাহীন জ্ঞানের ভান্ডার এবং একটি বই আমাদের জ্ঞান অর্জনের প্রবেশদ্বার । আমরা যত জ্ঞান অর্জন করেছি তা এই বইয়ের মাধ্যমেই করেছি। শিক্ষা যদি আমাদের ভবিষ্যতের ভিত্তি হয় তাহলে বই সেই উজ্জ্বল ভবিষ্যতের চাবিকাঠি। বই পড়া ছাড়া জ্ঞান অর্জন করা প্রায় অসম্ভব। অর্থাৎ যে যত বেশি বই পড়বে সে তত বেশি জ্ঞান অর্জন করবে ।
যারা বই পড়তে ভালোবাসে তাদের জন্য উপযুক্ত জায়গাটি হল অমর একুশে বইমেলা। কারণ সেদিন সারা বছরের বিভিন্ন প্রকাশনীর নতুন বইগুলো অমর একুশে বইমেলায় প্রদর্শিত করে। যারা বই প্রেমিক এবং যারা মেলায় গিয়েছিল তারা এই বিষয়টি ভালো করেই জানে।
বই প্রেমিক সকলেই ওমর একুশে বইমেলায় উপস্থিত হয়। যেখানে তার পছন্দ অনুযায়ী বইটি পড়তে পারে এবং পছন্দ অনুযায়ী ক্রয় করতে পারে। আর এই বই মেলাটি প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু থেকে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ৫০০ এর অধিক দোকান দিয়ে থাকে।
অমর একুশে বইমেলায় নানা ধরনের বই পাওয়া যায়। যেমন গল্পের বই, বিজ্ঞান বই , রাজনৈতিক ও নাটক বই। এছাড়া ছোট বড়দের জন্য নানা রকমের নতুন বই গুলো এই বইমেলায় প্রদর্শন করা হয়ে থাকে।
তবে এই বইমেলায় বইয়ের পাশাপাশি অনেক বড় মানের লেখক লেখিকা সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করা যায়। তারা তাদের বই নিয়ে বই মেলায় দোকান দিয়ে থাকে। যেখানে আপনি ক্রয় করার পাশাপাশি পড়তে পারবেন।
যুগের সাথে তাল মিলাতে গেলে অবশ্যই বই পড়তে হবে। বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে হবে এবং বই পড়াকে ভালবাসতে হবে। তাহলেই বই পড়া থেকে জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হবে।

বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা

২০২৪ সালের একুশে বইমেলার পরিবেশ সুশৃঙ্খল ও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার চাদরে মোড়ানো। উপচে পড়া ভিড়ের মধ্যে যেকোনো বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে বদ্ধপরিকর র‍্যাব সদস্যদের তত্ত্বাবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, দোয়েল চত্বর দুদিক থেকেই দীর্ঘ লাইন ধরে মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতে হচ্ছে। এক ঘণ্টা, দু ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও সুশৃঙ্খলভাবে একুশের বইমেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশের এ দৃশ্যপট সত্যিই প্রশংসনীয়। মেলা প্রাঙ্গণে বেশকিছু ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা থাকায় শৃঙ্খলা পর্যবেক্ষণ সহজ হচ্ছে। নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফলে পেট্রোল বোমার আতঙ্ক উপেক্ষা করে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ মেলা প্রাঙ্গণে আসছে।

নতুন বছরেও জমে উঠেছে বাঙালি চেতনা ও মননের প্রতীক একুশের বইমেলা। প্রথম সপ্তাহের আলোচিত ঘটনা পরিক্রমার পর দ্বিতীয় সপ্তাহে মেলার অবস্থা আরো জমজমাট। একুশের চেতনা ও বাংলা সাহিত্যের ওপর ধারাবাহিক সেমিনার আয়োজন যেমন চলছে, তেমনই দর্শক উপচে পড়া মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হচ্ছে লোকসংগীতসহ ঐতিহ্যবাহী সংগীতানুষ্ঠান। আলোচিত ও বিখ্যাত লেখকদের বইপত্রের সাথে সাথে প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে প্রতিশ্রুতিশীল নতুন নতুন লেখকদের প্রকাশনা। আর্থিক মন্দার কারণে মেলা জমে ওঠার ব্যাপারে শুরুর দিকে সংশয় থাকলেও শেষ পর্যন্ত লেখক, পাঠক, ক্রেতা, দর্শক সমন্বয়ে বইমেলা তার চির গর্বিত আপন রূপটিই ফিরে পেয়েছে।

বইমেলা অনুচ্ছেদ রচনা

বইমেলা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ

প্রথম বন্ধু: তোমার কি বইমেলায় যাওয়ার ইচ্ছে আছে?
দ্বিতীয় বন্ধু: অবশ্যই! এই বছর বইমেলায় যেতে চাই। আমি বইগুলির সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম।
প্রথম বন্ধু: আমিও একই মনে করছি। আমরা কীভাবে পেঁচা আসবো, আমি আশা করি সময় পেতে পারবো।
দ্বিতীয় বন্ধু: আমি একটা তালিকা তৈরি করেছি বইগুলির যেগুলি আমি কিনতে চাই। তুমি কি তোমার তালিকা ব্যবহার করবে?
প্রথম বন্ধু: অবশ্যই! একই ভাবে আমিও একটা তালিকা তৈরি করেছি। আমরা একসাথে বইগুলির প্রতিনিধিত্ব করতে পারবো।
দ্বিতীয় বন্ধু: এটা অসাধারণ হবে! আমরা বইমেলায় সাথে সাথে প্রতিনিধিত্ব করব।
প্রথম বন্ধু: হ্যাঁ, সেটা বিশেষ হবে! তাহলে চলো, আমরা একটা পরিকল্পনা তৈরি করি।
দ্বিতীয় বন্ধু: চলো, বইমেলার জন্য তৈরি হই।

Check Also

চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী।

চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসছেন নাসার প্রধান নভোচারী।  

বাংলাদেশে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার প্রধান নভোচারী জোসেফ এম আকাবা।  চলতি সপ্তাহেই বাংলাদেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *