শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে আজ! ক্লাসের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা: ২০২৪ সালের ২৮শে এপ্রিল থেকে দীর্ঘদিনের অবসর শেষে আজ থেকে সারা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। শিক্ষার্থীদের আবারো নিয়মিত ক্লাসে ফিরে আসার জন্য অভিনন্দন জানাই!
দেশে তীব্র তাপপ্রবাহে সতর্কতামূলক ব্যবস্থায় খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
বিষয় | তথ্য |
---|---|
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ | রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ |
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ধরণ | প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান |
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস | বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস |
কারণ | প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও ‘হিট অ্যালার্ট’ |
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সময় | সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত (এক পালায়) |
দুই পালায় বিদ্যালয়ের ক্লাসের সময় | প্রথম পালা: সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত, দ্বিতীয় পালা: সকাল পৌনে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত |
বন্ধ থাকা বিষয় | প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি ও অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) |
কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্তের কারণ | কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা |
প্রযোজ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টার |
তবে, করোনা মহামারীর পরিস্থিতি এখনও সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়। তাই, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আনন্দে মুখর হওয়ার পাশাপাশি সকলকেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো:
স্বাস্থ্যবিধি:
- মাশক পরা: স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের ক্লাসের সময় এবং ক্যাম্পাসে যাতায়াতের সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
- হাত ধোয়া: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্লাসে প্রবেশের আগে, ক্লাসের বাইরে বের হওয়ার পর, খাবার খাওয়ার আগে এবং টয়লেট ব্যবহারের পর অবশ্যই হাত ধুতে হবে।
- সামাজিক দূরত্ব: যতটা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে। ক্লাসে আসন বিন্যাস এমনভাবে করা হবে যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পর্যাপ্ত ফাঁকা থাকে।
- স্বাস্থ্যকর অভ্যাস: নিয়মিত ব্যায়াম করা, পর্যাপ্ত ঘুমানো এবং সুষম খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- অসুস্থ থাকলে ছুটি: যদি কোন শিক্ষার্থী, শিক্ষক বা কর্মচারী অসুস্থ বোধ করে, তাহলে তাদের অবিলম্বে ছুটি নিতে হবে এবং বাড়িতে বিশ্রাম নিতে হবে।
ক্লাস পরিচালনা:
- সময়সূচী: নিয়মিত ক্লাসের সময়সূচী মেনে চলতে হবে।
- পাঠদান: শিক্ষকদের পাঠদান পরিকল্পনা অনুসারে পাঠদান করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাঠ্যসূচি শেষ করার চেষ্টা করতে হবে।
- মূল্যায়ন: নিয়মিত পরীক্ষা ও মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
- অতিরিক্ত কার্যক্রম: নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি বিভিন্ন অতিরিক্ত কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।
অভিভাবকদের ভূমিকা:
- সচেতনতা বৃদ্ধি: অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং নিয়মিত স্কুলে যেতে উৎসাহিত করতে হবে।
- যোগাযোগ: স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ