ভারতের লোকসভা নির্বাচন ২০২৪, ১৯ এপ্রিল

ভারতের লোকসভা নির্বাচন: বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক উৎসবের সূচনা! ১৯ এপ্রিল, ২০২৪: বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক নির্বাচন শুরু হচ্ছে আগামীকাল শুক্রবার। ভারতের লোকসভার ১৮তম নির্বাচনে ভোট দেবেন প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার। ৭ দফায় অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন, যার ফলাফল ঘোষণা করা হবে ৪ জুন।

ভারতের লোকসভা নির্বাচন প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ

  • তারিখ: ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
  • আসন: ১০২ (১৭ রাজ্য ও ৪ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল)
  • অরুণাচল প্রদেশের ৬০টি বিধানসভা আসনে একইদিন ভোট
  • সিকিমের ৩২টি বিধানসভা আসনে একইদিন ভোট।
ধাপতারিখঘটনা
১৯ এপ্রিলনির্বাচন শুরু
২৩ এপ্রিলদ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন
২৭ এপ্রিলতৃতীয় ধাপে নির্বাচন
২ মেচতুর্থ ধাপে নির্বাচন
৬ মেপঞ্চম ধাপে নির্বাচন
১০ মেষষ্ঠ ধাপে নির্বাচন
১৪ মেসাতম ধাপে নির্বাচন
৪ জুননির্বাচন ফলাফল ঘোষণা
মোট জনসংখ্যা১৪০ কোটি
নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্য ব্যক্তি৯৬ কোটি
সর্বশেষে নির্বাচনের শেষ হতে সময়১ মাস
লোকসভার আসন৫৪৩টি
রাজ্যসভার আসন৬৫টি
উপনির্বাচন আসন৩৫টি

ভারত লোকসভা নির্বাচন ২০২৪

ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র। দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১.৪ বিলিয়ন। ভোটার সংখ্যাও প্রায় একই। এই সংখ্যাটি দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০% এরও বেশি।

  • যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩৪ কোটি ভোটার রয়েছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় ৩৩ কোটি।
  • ব্রাজিলে প্রায় ২১.৬ কোটি ভোটার রয়েছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় ২১ কোটি।
  • রাশিয়ায় প্রায় ১৪.৪ কোটি ভোটার রয়েছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৪.৬ কোটি।
  • জাপানে প্রায় ১২.৩ কোটি ভোটার রয়েছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১২.৫ কোটি।
  • বেলজিয়ামে প্রায় ১.২ কোটি ভোটার রয়েছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১.১ কোটি।
  • ব্রিটেনে প্রায় ৬.৮ কোটি ভোটার রয়েছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় ৬.৭ কোটি।
  • ফ্রান্সে প্রায় ৬.৫ কোটি ভোটার রয়েছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় ৬.৫ কোটি।
  • ভোটার সংখ্যার দিক থেকে ভারত বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে।

ভারতের নাগরিকরা ১৯শে এপ্রিল থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য সংসদ নির্বাচন করতে শুরু করবেন। মোদী পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসতে চাইছেন এবং বিপক্ষ তার পক্ষে চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে। নির্বাচনের সময়ে বিভিন্ন বিরোধী জোট দেখা যাচ্ছে, যারা কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করছেন। কংগ্রেস বলছে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে, যার ফলে তাদের নির্বাচনী প্রচারণার খরচ চালাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতাকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করছেন।

হাঁটাচলায় সমস্যা এমন ভোটারদের জন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হবে এসব হুইলচেয়ার। চেন্নাইয়ে ভোটার সরঞ্জাম বিতরণের একটি কেন্দ্রে, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

হাঁটাচলায় সমস্যা এমন ভোটারদের জন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হবে এসব হুইলচেয়ার। চেন্নাইয়ে ভোটার সরঞ্জাম বিতরণের একটি কেন্দ্রে, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪

ভোটাধিকার সকলের অধিকার। এই সত্যকে স্বীকার করে, নির্বাচন কমিশন প্রতিবছরই নির্বাচনে অংশগ্রহণ সহজতর করার জন্য নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হাঁটাচলায় সমস্যায় পড়া ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

কেন্দ্রে কেন্দ্রে হুইলচেয়ার:

নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, দেশের সকল ভোটকেন্দ্রে হুইলচেয়ার রাখা হবে। যাতে হাঁটাচলায় অসুবিধাগ্রস্ত ভোটাররা সহজেই ভোট দিতে পারেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চেন্নাইয়ের একটি ভোটার সরঞ্জাম বিতরণ কেন্দ্র:

চেন্নাইয়ের একটি ভোটার সরঞ্জাম বিতরণ কেন্দ্রে গত ১৮ এপ্রিল এই হুইলচেয়ার বিতরণ শুরু করা হয়েছে। ভোটাররা হুইলচেয়ার ব্যবহার করে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এই উদ্যোগটি ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

ভারতের জাতীয় নির্বাচনের আগে ছত্তিশগড়ে মোটরসাইকেলে চড়ে দিচ্ছেন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের সদস্যরা

ভারতের জাতীয় নির্বাচনের আগে ছত্তিশগড়ে মোটরসাইকেলে চড়ে দিচ্ছেন সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের সদস্যরা

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছত্তিশগড়ে মোটরসাইকেলে টহল দিচ্ছে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (CRPF) এর সদস্যরা। এই পদক্ষেপটি রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোটদানের সময় সম্ভাব্য বিঘ্নতা ও সহিংসতার ঝুঁকি মোকাবেলা করার জন্য নেওয়া হয়েছে।

মোটরসাইকেল প্যাট্রোল:

CRPF কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তারা রাজ্যের বিভিন্ন সংবেদনশীল এলাকায় মোটরসাইকেল প্যাট্রোল চালু করেছে। এই প্যাট্রোলগুলি দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং গতিশীলতার প্রদান করবে, যা বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় যেখানে গাড়ি চলাচলের রাস্তাগুলি সীমিত, তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা:

মোটরসাইকেল প্যাট্রোল ছাড়াও, CRPF রাজ্যের নির্বাচনী নিরাপত্তার জন্য আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

স্ট্যাটিক পিকেট: সংবেদনশীল এলাকা যেমন ভোটিং কেন্দ্র, রাজনৈতিক দলের অফিস এবং নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বাসস্থানে স্ট্যাটিক পিকেট স্থাপন করা হয়েছে।
ফুট প্যাট্রোল: ব্যস্ত এলাকা এবং বাজারে ফুট প্যাট্রোল চালানো হচ্ছে।
বোম্ব নিষ্ক্রিয়করণ দল: বিস্ফোরক ডিভাইসের হুমকি মোকাবেলা করার জন্য বোম্ব নিষ্ক্রিয়করণ দল तैनात করা হয়েছে।

CRPF কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে এই জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলি আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতে সাহায্য করবে।

ভারতের জাতীয় নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছত্তিশগড়ে মোটরসাইকেলে টহল দিচ্ছে CRPF-এর সদস্যরা। এই পদক্ষেপটি রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোটদানের সময় সম্ভাব্য বিঘ্নতা ও সহিংসতার ঝুঁকি মোকাবেলা করার জন্য নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন

নির্বাচনকর্মীরা ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে ভোটকেন্দ্রে

Leave a Comment