২০২৪ পহেলা বৈশাখ তারিখ ও সময়, ২০২৪ নববর্ষ তারিখ ও সময়, ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ ক্যালেন্ডার

২০২৪ পহেলা বৈশাখ তারিখ ও সময়, ২০২৪ নববর্ষ তারিখ ও সময়, ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ ক্যালেন্ডারঃ ১৪৩১ পহেলা বৈশাখ তারিখ ও সময়, ১৪৩১ নববর্ষ তারিখ ও সময়, ১৪৩০ বাংলা নববর্ষ ক্যালেন্ডার। জেনে নিন বাংলা নববর্ষ ২০২৪ তে কখন হবে এবং সাথে পাবেন বাংলা নববর্ষর ফটো ও ওয়ালপেপার ফ্রি ডাউনলোড করার জন্য।

পহেলা বৈশাখ /বাংলা নববর্ষ – পহেলা বৈশাখ অথবা বাংলা নববর্ষ, বাঙালি মানুষের বছরের প্রথম দিন, পহেলা বৈশাখ থেকে শুরু হয় বাংলার এক নতুন বছর। তাই এই নববর্ষের আগমনী বাঙ্গালী মানুষেরা খুবই আনন্দের সাথে পালন করে। ভারতবর্ষ, ত্রিপুরা, বাংলাদেশ সহ বাংলা ভাষী দেশে নববর্ষ পালন করা হয়।

পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে একটু ভিন্ন-ভিন্ন ভাবে অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিমবঙ্গে বাঙালিরা ঐতিহাসিক বাংলা হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে নদীতে স্নান করেন এবং তারপর মা লক্ষী ও শ্রী গণেশের পূজা অর্চনা করেন। ব্যবসা আদি জায়গায় এই নতুন বছরে নতুন খাতা হয়।

কিছু কিছু জায়গায় সাংস্কৃতিক সংগীত, নাচ গান আদি হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গে এই দিন “বাংলা নববর্ষ” নাম বেশি পরিচিত। বাংলাদেশে এই দিন জনসাধারণের ছুটির দিন হিসাবে পালন করা হয়।

পহেলা বৈশাখের দিন বাংলাদেশে মেলা লাগে এবং সারাদিন নাচ গান ও মিছিল, শোভাযাত্রা দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে এই দিন কে মানবতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসাবে আয়োজিত করা হয়।

পহেলা বৈশাখ: বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব

“পহেলা বৈশাখ” বা “নববর্ষ” কেবল একটি দিন নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের প্রথম দিনটিকে আমরা বাংলা নববর্ষ বা বাঙালীর বৈশাখী মেলা হিসেবে উদযাপন করি। এদিন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে নানা রকম আড়ম্বর-আয়োজনের মাধ্যমে নতুন বাংলা বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। আগামী বছরের সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধির কামনা নিয়ে গোটা জনপদ উৎসবে মুখরিত হয়ে ওঠে।

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস

বাংলা নববর্ষের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলার সবুজ কৃষি নির্ভর সভ্যতা ও মুঘল সম্রাট আকবরের নাম। বাংলা পঞ্জিকা আসার আগে এদেশে কর আদায় করা হতো হিজরি পঞ্জিকা বা আরবী মাসের সাথে মিলিয়ে। কিন্তু চাঁদের উপর নির্ভরশীল আরবী পঞ্জিকার সাথে ফসল উৎপাদন ও খাজনা আদায়ের সময়কাল পুরোপুরি সুবিধাজনক না হওয়ায় সম্রাট আকবর প্রাচীন বাংলা বর্ষপঞ্জীতে সংস্কার আনেন। প্রথমদিকে এর নাম ছিলো “ফসলি সন”। পরে এটি “বঙ্গাব্দ” নামে পরিচিতি লাভ করে।

আরও পড়ুন

পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে ১০টি বাক্য

পহেলা বৈশাখের গান: এসো হে বৈশাখ, এসো এসো

পয়লা বা পহেলা বৈশাখ, বাঙালির প্রাণের উৎসব। সারাদেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবি ঠাকুরের চিরসবুজ গান ‘এসো হে বৈশাখ’-এর তালে তালে মেতে ওঠে গোটা জনপদের মানুষ।

এই গান শুধু একটি উৎসবের গান নয়, বরং এতে লুকিয়ে আছে বাঙালির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, এবং জীবনধারার সারসংক্ষেপ। পহেলা বৈশাখের তাৎপর্য শুধুমাত্র আনন্দ-উৎসবেই সীমাবদ্ধ নয় – বরং এতে লুকিয়ে আছে পুরাতনকে সাথে নিয়ে, জরা-দুর্দশাকে শক্তিতে পরিণত করে সামনে এগিয়ে যাবার প্রত্যয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি রচনা করেছিলেন ১৯১৩ সালে। এই গানটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় গান এবং প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের দিনে সারা বাংলায় গাওয়া হয়।

গানটির কথা:

এসো হে বৈশাখ, এসো এসো
বাংলার নববর্ষ এসেছে
নতুন আশা নতুন করে
বাংলার মুখে ফুটেছে হাসি

এই গান শুধু একটি সুর বহন করে না, বরং বাঙালির মনের ভাব প্রকাশ করে। পহেলা বৈশাখ বাঙালির জীবনে একটি বিশেষ দিন। এই দিনে তারা পুরনো বছরের বিষাদ ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। নতুন বছরের শুরুতে তারা নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়।

‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি শুধু বাঙালিদের জন্যই নয়, বরং সকলের জন্য একটি অনুপ্রেরণা। এই গান আমাদের শেখায় যে, আমাদের জীবনে যতই দুঃখ-কষ্ট থাকুক না কেন, আমাদের সবসময় নতুন করে শুরু করার সাহস রাখতে হবে।

পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান, খাবার ও সংস্কৃতি

নতুন বাংলা বছর ১৪৩১ আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। ইংরেজী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ১৪ই এপ্রিল, ২০২৪ সালে আমরা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ঐতিহ্যবাহী মঙ্গল শোভাযাত্রা, রমনা বটমূলে পান্তা-ইলিশ, নববর্ষের কবিতা, ছবি, চিঠি ও সঙ্গীত-এর মাধ্যমে এবারও নববর্ষ বরণ করবে।

এছাড়াও, বৈশাখী মেলা, নৌকা বাইচ, পুতুলনাচ সহ আরও অনেক ঐতিহ্যবাহী আনন্দ-উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

নতুন পোশাকে সজ্জিত নারী-পুরুষ-শিশুরা আনন্দে মুখর হয়ে উঠবে। বাংলা নববর্ষ আরও হাজার বছর ধরে টিকে থাকুক – বাংলা ও বাঙালির শেকড়ের উৎসব হিসেবে। নতুনকে জয় করা ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হই।

এই বছরের পহেলা বৈশাখ আপনাদের জন্য শুভ হোক!

পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা

পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা শুভ নববর্ষ!

প্রতি বছরের মতো এবারও আসছে আমাদের ঐতিহ্যবাহী নববর্ষ পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরের আগমনে আমাদের মনে জাগে নতুন আশা, নতুন স্বপ্ন। পুরনো বছরের ভুলত্রুটি ভুলে নতুন বছরে নতুন করে শুরু করার প্রত্যয় নেওয়ার সময় এটি।

পহেলা বৈশাখ কেবল একটি নতুন বছরের শুরু নয়, এটি বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অপূর্ব নিদর্শন। এই দিনটিতে আমরা নতুন জামা কাপড় পরি, মিষ্টি খাই, নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করি এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি।

প্রিয়জনদের উদ্দেশ্যে পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা বার্তা


আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে সুখ ও সমৃদ্ধ ভরা পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা!

পয়লা বৈশাখের এই শুভ দিনে, আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আপনার এবং আপনার পরিবারের উপর সর্বদা আশীর্বাদ বর্ষণ করুন।

আশা করি এই নতুন বছর আপনার জন্য আনন্দ, সমৃদ্ধি এবং প্রচুর সৌভাগ্য নিয়ে আসবে।

এই বাংলা নববর্ষ আপনার জীবন আলোয় ভরে দিক, সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে অনুক জীবনে।

আল্লাহর আশীর্বাদে জীবনের সমস্ত অন্ধকার কেটে যাক, এই কামনা করি।

পয়লা বৈশাখ উল্লাস এবং আনন্দের সঙ্গে কাটুক, আপনাকে বাংলা নববর্ষের অসংখ্য শুভেচ্ছা।

**পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা সবাইকে! **

নতুন বছরের শুরুতে আপনাদের সবার কাছে শুভেচ্ছা জানাই।

আসুন মিলে মিলে সবাই উৎসবে ভরা আবৃত্তি হোক।

**নতুন বছরে নতুন আশা, নতুন উদ্দীপনা। **

**পহেলা বৈশাখের সাথে মিলে মিলে আনন্দ ও হাসির মেলা। **

নতুন বছরে আসুন সবাই মিলে একটি নতুন সৃষ্টি করি।

**নতুন বছরে শুরু হোক নতুন সফলতা ও খুশির দিকে। **

**নতুন বছরে সবাইকে ভালোবাসা এবং আনন্দের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। **

**নতুন বছরের প্রথম দিনে সবাইকে শুভ নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা। **

পহেলা বৈশাখের দিনে সূর্য উগমের সাথে সবাইকে আনন্দের আলো মিলুক। ☀️

**নতুন বছরে সবার জীবনে আসুক নতুন রঙ, নতুন উৎসাহ ও নতুন সফলতা। **

**শুভ নববর্ষের আগমনে, সবাইকে হাসি ও খুশির মেলায় মেলায় ভরিয়ে উঠুক। **

Check Also

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা

২০২৫ সালের সরকারি ছুটির তালিকা সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *