১৮ তম রিটেন পরীক্ষার্থীদের শেষ মুহূর্তে করণীয়

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে: সারা দেশে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেসরকারি পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ঐচ্ছিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা আগামী ১২ ও ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষার সঠিক প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ নিয়ে আজকের আয়োজন।

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষায় নম্বর ১০০। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো পাস নম্বর নেই। যেসব প্রার্থী বেশি নম্বর পাবেন, তাঁদের জেলাভিত্তিক শূন্য পদের ভিত্তিতে পরের ধাপের জন্য মনোনীত করা হবে।

১৮তম লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য করণীয়

১৮তম লিখিত পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রথমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস ভালোভাবে দেখে নিতে হবে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ওয়েবসাইটে সিলেবাস দেওয়া আছে। প্রয়োজনে সিলেবাস ও বিগত ৫/৭ বছরের পরীক্ষার প্রশ্ন মিলিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে নোট করে বা দাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে, যা প্রস্তুতিকে সহজ করবে।

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত সিলেবাসের বিষয়গুলো বেশির ভাগ স্নাতক পর্যায়ে পঠিত বিভিন্ন বিষয়ের চুম্বক অংশ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বোর্ড বইয়ের অংশবিশেষ সংযোজন করা। তাই মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের মৌলিক বই অনুসরণ করা জরুরি। এ জন৵ বাইরের বই পড়ার দরকার নেই। সিলেবাসের বিষয়বস্তু কোন কোন মৌলিক বইয়ের সঙ্গে মিল রয়েছে, তা শনাক্ত করে সেখান থেকে আয়ত্ত করা উচিত।

দীর্ঘদিন লেখার চর্চা না থাকলে লেখার চর্চা বাড়ানো উচিত। প্রশ্নের উত্তর যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত ও গুছিয়ে দেওয়া যায় ততই ভালো। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।

কোনো প্রশ্নের উত্তর না করা বা বাদ দেওয়া বোকামি হবে। মনে রাখতে হবে, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন লিখিত পরীক্ষায় সবাই সবার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করবে। তত্ত্বীয় বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে সিলেবাস ধরে ধরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের বা বিগত প্রশ্নগুলোর হ্যান্ডনোট করে পড়লে তা অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। উত্তর করার জন্য প্রশ্ন নির্বাচন করাটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যেসব প্রশ্নের উত্তর গুছিয়ে ও অল্প সময়ে দেওয়া সম্ভব, সেগুলোর উত্তর করা শ্রেয়।

১৮তম লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে দুটি অংশ থাকে। প্রথমটি রচনামূলক অংশ, যেখান থেকে ৫টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে, যার প্রতিটির নম্বর ১৫। দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন, যেখানে ৫টির উত্তর করতে হবে, যার প্রতিটির নম্বর ৫। রচনামূলক ও সংক্ষিপ্ত উভয় প্রশ্নে বিকল্প প্রশ্ন নির্বাচন করার সুযোগ রয়েছে।

রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন সময় বেশি নষ্ট না হয়। সে জন্য প্রশ্নের উত্তর যতটা সম্ভব গুছিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে লেখা এবং সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বিভিন্ন পরীক্ষার অতীত অভিজ্ঞতা অনুসারে প্রস্তুতি নিতে থাকুন।
বাজারের গাইড বই পড়ার দরকার নেই। প্রয়োজন হলে নিজেই হ্যান্ডনোট করে পড়ুন। শূন্য পদ থাকা বা না থাকা নিয়ে চিন্তা না করে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন এবং পরীক্ষায় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করুন। সবার জন্য শুভকামনা।

Check Also

সরকারি ও বেসরকারি কলেজে ২০২৫ সালের ছুটির তালিকা

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আজ আমরা ২০২৫  সালের সরকারি ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *