বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার পূর্ববর্তী কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বাংলাদেশ আধিপত্য দেখিয়ে সফলতা পেয়েছিল। সেই কারণে চলমান সিরিজেও একটি জমজমাট লড়াইয়ের আশা ছিল ক্রিকেটপ্রেমীদের। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দুটি ম্যাচে একপেশে পারফরম্যান্সে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করেছে মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
এই পরিসংখ্যানের পর শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশড এড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। তবে বাংলাদেশ দলের জন্য এটি খুবই চ্যালেঞ্জিং, কারণ ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং—এই তিনটি বিভাগেই উন্নতির দিক থাকতে হবে।
প্রথম ম্যাচের পর অধিনায়ক মিরাজ জানিয়েছিলেন, বোর্ডে রান যথেষ্ট ছিল। তবে পরবর্তী ম্যাচে হারের পর তিনি দায় চাপিয়েছেন ব্যাটারদের উপর। কারণ, ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে বাংলাদেশ মাত্র ২২৭ রান করেছিল, যা খুবই কম ছিল।
বিশেষ করে সেন্ট কিটসের মতো জায়গায়, যেখানে আগে ব্যাটিং করা দলগুলোর গড় স্কোর প্রায় ৩০০-এ ছিল, সেখানে বাংলাদেশের রান আরও কম হওয়ার প্রধান কারণ ছিল প্রথম দিকের ব্যাটারদের দুর্বল পারফরম্যান্স।
এক তানজিদ হাসান তামিম বাদে অন্যরা সবাই হতাশ করলে মাত্র ১১৫ রানেই চলে যায় ৭ উইকেট। সেখান থেকে বাংলাদেশকে টেনে নেন টানা তিন ওয়ানডেতে ফিফটি করা অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। আর নয়ে নেমে পেসার তানজিম হাসান সাকিব খেলেন ৪৫ রানের দারুণ এক ইনিংস। তবে টপ অর্ডার, বিশেষ করে সৌম্য সরকার ও লিটন দাসের ফর্ম চিন্তার কারন বাংলাদেশের জন্য।
আগের ম্যাচে একাদশে আসে শরিফুল ইসলাম ছিলেন একেবারেই অচেনা। তার জায়গায় তাই দলে আসতে পারেন তাসকিন আহমেদ বা হাসান মাহমুদ।
এছাড়া স্পিন বিভাগেও আসতে পারে বদল। দলে আসতে পারেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ বা শেখ মাহেদি হাসান। তাতে বাদ পড়তে পারেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
বাংলাদেশের ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৭টায়।