আজকের এই লেখায় আমরা আলোকপাত করব বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু ঘিরে সৃষ্ট বিতর্কের দিকে। জামায়াতের দাবি, তাঁর মৃত্যুর কারণ চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা।
ঘটনাটি কি?
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, যিনি বাংলাদেশের একটি বড় ইসলামি দল জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা ছিলেন, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জামায়াত দাবি করে যে, তাঁকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি এবং এই অবহেলার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী: এক স্মরণীয় দিন
গতকাল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ ও মুফাসসিরে কুরআন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের সাবেক নেতার অবদান স্মরণ করে এক বিশেষ বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত বছরের ১৪ আগস্ট রাতে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আল্লামা সাঈদী ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসায় অবহেলাকে দায়ী করা হয়েছে। কারাগার থেকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তার পরিবারকেও তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
আল্লামা সাঈদীর মৃত্যুর পর তার জানাজা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও অশান্তি সৃষ্টি হয়। লাখ লাখ সমর্থক ঢাকায় তার জানাজা আদায়ের দাবি জানালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। শেষ পর্যন্ত তার গ্রামের বাড়িতে জানাজা আদায় করা হয়।
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তিনি কুরআনের তাফসীর, ইসলামী চিন্তাধারা এবং ধর্মীয় শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে ইসলামী জগৎসহ বাংলাদেশের বহু মানুষ শোকাহত হয়েছিল।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু ও এর পরবর্তী ঘটনা
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একটি গভীর প্রভাব ফেলেছে। জামায়াতে ইসলামীর আমিরের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী, সাঈদীর মৃত্যুর পর তাঁর লাশ ঢাকায় নিয়ে জানাজা আদায় করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এর ফলে লাখ লাখ সমর্থক ঢাকায় জড়ো হয়ে জানাজার দাবি জানালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এই সংঘর্ষে শত শত লোক আহত হয়।
পরে সাঈদীর লাশ তাঁর পৈত্রিক বাড়ি পিরোজপুরে নিয়ে নামাজে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়। লাখ লাখ সমর্থক তাঁর জন্য দোয়া করে।
জামায়াতের আমিরের মতে, সাঈদী তাঁর জীবন ও কর্ম দিয়ে আমাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি কোরআনের তাফসীর করেছেন এবং জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি সাঈদীর অবদানের প্রশংসা করে তাঁর মৃত্যুকে শহীদি মৃত্যু হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।