এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল

বাংলাদেশের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করার নতুন পরিকল্পনা: শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটেবাংলাদেশের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া নিয়ে সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য নতুন একটি রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে যা ৪০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত করা হবে। এই সিদ্ধান্ত শিক্ষামন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তাদের আলোচনার ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও ফলাফল প্রস্তুতির নতুন পরিকল্পনা২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সূচি শুরু হয়েছিল ৩০ জুন। তবে, চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে পরীক্ষা কয়েক দফা স্থগিত এবং পিছিয়ে যায়।

আন্দোলনের ফলে শিক্ষার্থীরা দাবি জানায় যে, যেসব বিষয় ইতিমধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর ভিত্তিতে ফলাফল ঘোষণা করা হোক। তাদের দাবি ছিল, পরিস্থিতির কারণে অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে এবং বেশ কিছু পরীক্ষার্থী আহতও হয়েছেন।

ফলাফল প্রস্তুতির প্রাথমিক রূপরেখানতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে দুইটি

প্রধান বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে:পরীক্ষিত বিষয়গুলোর ফলাফল: যেসব পরীক্ষার ফলাফল ইতিমধ্যেই পাওয়া গেছে, সেগুলোর ভিত্তিতে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে।

অনুপস্থিত বিষয়গুলোর সাবজেক্ট ম্যাপিং: যেসব বিষয় পরীক্ষা নেয়া হয়নি, সেগুলোর সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফলাফল প্রস্তুত করা হবে।এসএসসি ও জেএসসি ফলাফলের ভূমিকাএসএসসি পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হলে, জেএসসি ফলাফল বিবেচনায় নেয়া হবে।

একইভাবে, যদি জেএসসি ফলাফলও সন্তোষজনক না হয়, তাহলে যে সাত বিষয়ে পরীক্ষা দেয়া হয়েছে, সেগুলোর ফলাফল মূল্যায়ন করা হবে। এই পদক্ষেপটি নিশ্চিত করবে যে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে এবং তাদের শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ও বিক্ষোভগত ২০ আগস্ট, হাজার হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থী সচিবালয়ে গিয়ে পরীক্ষা স্থগিত করার দাবি জানায়।

তাদের মতে, আন্দোলনের কারণে তাদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে এবং কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের দাবির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।

পরিবর্তিত পরীক্ষার পদ্ধতিশেষ পর্যন্ত, ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা আরও দুই সপ্তাহ পিছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং ১০০ নম্বরের প্রশ্নের পরিবর্তে ৫০ নম্বরের উত্তর দেয়ার মাধ্যমে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেয়া হবে।

এমন একটি সময়ে, যখন শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, নতুন পরিকল্পনাটি তাদের জন্য কিছুটা সান্ত্বনা প্রদান করবে। শিক্ষামন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে এটি আশা করা যায় যে, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য একটি কার্যকর এবং সুবিচারমূলক ফলাফল প্রদান করা সম্ভব হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top