১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার ২০২৪

আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত নিবন্ধন প্রত্যাশা বন্ধুরা  আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনি ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের জন্য এনটিআরসিএর নতুন শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তির তথ্য নিয়ে এসেছি। অনেকেই জানতে চেয়েছিলেন,যে ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি কবে প্রকাশিত হবে, সে বিষয়ে। তাই, আজকের এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য পাবেন।

১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার ২০২৪

এনটিআরসিএ (বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ) প্রতি বছর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য নতুন সার্কুলার প্রকাশ করে থাকে। ২০২৪ সালে ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য সার্কুলার শিগগিরই প্রকাশিত হতে পারে। এই সার্কুলারে থাকবে নতুন নিয়োগ সংক্রান্ত সব তথ্য, আবেদন পদ্ধতি, যোগ্যতা, সময়সীমা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা।

সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সার্কুলার প্রকাশিত হলে, এতে আবেদনকারীকে প্রথমে লিখিত পরীক্ষা এবং পরবর্তীতে ভাইভা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রার্থীদের সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সহ সার্কুলার প্রকাশের পর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে।

আশা করা যায় যে, শীঘ্রই এই সার্কুলার প্রকাশিত হবে, তাই আবেদনকারীদের নিয়মিতভাবে এনটিআরসিএ’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য সংবাদ মাধ্যম চেক করতে হবে।

শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪

২০২৪ সালের জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শিগগিরই প্রকাশ করতে পারে। এনটিআরসিএ প্রতিবছর বেসরকারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিবন্ধন পরীক্ষা পরিচালনা করে থাকে। ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হবে, এবং এই পরীক্ষার জন্য সার্কুলার বা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।

নিচে ২০২৪ সালের শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত সাধারণ তথ্য তুলে ধরা হলো:

শিক্ষক নিবন্ধন ২০২৪ এর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য

১।শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীদের বিভিন্ন পদের জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। সাধারণভাবে, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য আবেদনের শর্তাবলী অনুযায়ী প্রার্থীদের ন্যূনতম স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। কিছু বিশেষ বিষয় বা পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা আরও নির্দিষ্ট হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ:

  • প্রাথমিক শিক্ষক পদের জন্য ন্যূনতম উচ্চ মাধ্যমিক বা স্নাতক।
  • মাদ্রাসা শিক্ষক পদের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।

২। বয়সসীমা: প্রার্থীদের বয়স নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকতে হবে। সাধারণভাবে, ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে বয়স থাকতে হবে, তবে কিছু ক্ষেত্রে বয়সের ছাড় দেয়া হতে পারে।

৩। আবেদন প্রক্রিয়া: প্রার্থীদের এনটিআরসিএ’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (www.ntrca.gov.bd) থেকে আবেদন করতে হবে। সাধারণত আবেদন পদ্ধতি অনলাইনে হয়ে থাকে। আবেদন ফরম পূরণ এবং সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে।

৪। পরীক্ষা পদ্ধতি: শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়:

  • প্রথম ধাপ: প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (MCQ) – এতে সাধারণ জ্ঞান, ইংরেজি, গাণিতিক দক্ষতা, এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি সম্পর্কে প্রশ্ন থাকে।
  • দ্বিতীয় ধাপ: লিখিত পরীক্ষা – এই পর্বে প্রার্থীদের নির্বাচিত বিষয়ের উপর লিখিত পরীক্ষা নিতে হয়।
  • তৃতীয় ধাপ: ভাইভা পরীক্ষা – প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতা যাচাই করা হয়।

৫। পরীক্ষা স্থান ও সময়: শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট সময় এবং স্থান সার্কুলারে উল্লেখ থাকবে। সাধারণত পরীক্ষাগুলো দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়।

৬। আবেদন ফি: নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হয়। সার্কুলারে ফি পরিমাণ এবং জমা দেওয়ার পদ্ধতি বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে।

৭।  আবেদনকারীদের জন্য নির্দেশনা: আবেদনকারীকে নির্দিষ্টভাবে সঠিক তথ্য দিতে হবে, এবং কোন তথ্য গোপন রাখা বা ভুল তথ্য প্রদান করলে আবেদন বাতিল হতে পারে।

সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূর্ণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, ছবি ইত্যাদি আপলোড করতে হবে।

৮।   নির্বাচিত প্রার্থীদের জন্য নিয়োগ: নিবন্ধন প্রাপ্ত প্রার্থীরা পরবর্তী পর্যায়ে স্কুল বা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবে। নিয়োগের পরে তাদের বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে চাকরি দেওয়া হবে, এবং শর্তাদি অনুসারে নিয়োগ পত্র প্রদান করা হবে।

এনটিআরসিএ ২০২৪ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সার্কুলার প্রকাশিত হলে আরো বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ আপডেট এবং আবেদনের জন্য আমাদের ওয়েবসাইট  নিয়মিতভাবে চেক করার জন্য আবেদনকারীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার ২০২৪

১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার টি ২০২৪ সালের শেষের দিকে প্রকাশিত হতে পারে। কারণ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ মূলত একটি নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ হলে আরেকটি নিবন্ধনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এছাড়া বিগত বছরের শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার গুলো লক্ষ্য করে দেখা যায় প্রতিবছর এভাবেই নিবন্ধন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো প্রকাশ করে থাকে।

১৯ তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার ২০২৪ সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর 

শিক্ষক নিবন্ধনের মেয়াদ কত বছর?

বর্তমানে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক প্রকাশিত একটি নতুন নির্দেশনায় জানানো হয়েছে যে, শিক্ষক নিবন্ধন সনদের মেয়াদ এখন ইস্যুর তারিখ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত বহাল থাকবে। অর্থাৎ, এনটিআরসিএ সনদ প্রদান করার পর, সেটি ৩ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে, যা পূর্বের নিয়মের তুলনায় এক বছরের কম।

নটিআরসিএ কর্তৃপক্ষের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষক নিবন্ধন সনদ ইস্যুর তারিখ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে। এই মেয়াদ শেষ হলে, প্রার্থীকে আবার সনদ নবায়ন করতে হবে অথবা নতুন করে আবেদন করতে হতে পারে। তবে, ৩ বছরের মধ্যে যদি প্রার্থী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না পান, সেক্ষেত্রে তার সনদ অকার্যকর হয়ে যাবে।

তবে, আবেদনকারীদের জন্য পরামর্শ, সময়মতো নিবন্ধন সনদটির মেয়াদ সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং নতুন নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বা নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষকদের অবসরের বয়স কত?

বাংলাদেশে শিক্ষকদের অবসরের বয়স সাধারণত ৫৯ বছর। তবে, কিছু ক্ষেত্রে বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে (বিশেষত সরকারি বা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) এই বয়সের মধ্যে কিছু ভিন্নতা থাকতে পারে।

বিস্তারিত:

১। সরকারি স্কুল/মাদ্রাসা শিক্ষক (প্রাথমিক ও মাধ্যমিক):  সরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষকরা সাধারণত ৫৯ বছর বয়সে অবসরগ্রহণ করেন। এটি সরকারী কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত নিয়ম এবং দেশে প্রতিষ্ঠিত চাকরি নীতিমালা অনুযায়ী চলে।

২। বেসরকারি স্কুল/মাদ্রাসা শিক্ষক: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে, শিক্ষক অবসরের বয়স প্রতিষ্ঠানভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণভাবে, বেশিরভাগ বেসরকারি স্কুল ও কলেজে শিক্ষকরা ৫৯ বছর বয়সে অবসর নেন, তবে কিছু প্রতিষ্ঠানে এটি ৬০ বছর বা তারও বেশি হতে পারে, যা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নীতি অনুসারে নির্ধারিত হয়।

৩।।বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবসরগ্রহণের বয়স সাধারণত ৬৫ বছর। তবে, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নীতি ও রাষ্ট্রীয় বিধির ওপর নির্ভর করে।

অবসরের পর পেনশন:

  • সরকারি শিক্ষকরা অবসরগ্রহণের পর পেনশন সুবিধা পান, যা তাদের কর্মজীবনের কর্মদক্ষতা এবং প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে।
  • বেসরকারি শিক্ষকরা সাধারণত অবসর পরবর্তী পেনশন সুবিধা পান না, তবে কিছু স্কুল বা কলেজ তাদের কর্মীদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড (PF) বা গ্রাচুইটি সুবিধা দিয়ে থাকে।

অতএব, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক অবসরের বয়স ৫৯ বছর হলেও, বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান ও চাকরির শর্তের ভিত্তিতে এই বয়সের সীমা পরিবর্তিত হতে পারে।

আরো পড়ুন-

এনটিআরসিএ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৪ pdf দেখুন

Ntrca শিক্ষক নিবন্ধন প্রস্তুতি যথার্থ অনুবাদ

 ভৌতবিজ্ঞান ভাইভা প্রস্তুতি

 ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ঘোষণা

Leave a Comment