প্রত্যন্ত এলাকায় ভোটের সরঞ্জাম পৌঁছানোর জন্য পুলিশ ও নির্বাচন কর্মকর্তারা নির্বাচনী সামগ্রী নিয়ে নৌকা করে যাচ্ছেন।
মাজুলি, আসাম, ভারত, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪:
আজ ভোরে, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা ও পুলিশ মাজুলির প্রত্যন্ত এলাকায় ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম পৌঁছাতে নৌকা ব্যবহার করেছেন।
মাজুলি, ব্রহ্মপুত্র নদীর মাঝখানে অবস্থিত একটি নদী দ্বীপ, যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য পরিচিত। তবে, দ্বীপের কিছু অংশে যাতায়াত ব্যবস্থা দুর্বল, যা নির্বাচনী সরঞ্জাম পরিবহনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।
এই সমস্যা সমাধানে, নির্বাচন কমিশন নৌকা ব্যবহার করে দূরবর্তী এলাকায় সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সকালে, নির্বাচনী কর্মকর্তা, পুলিশ কর্মী এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল নৌকা করে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বহন করেছেন।
এই উদ্যোগটি স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছে। “এটি একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ,” একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন। “আমি খুশি যে নির্বাচন কমিশন আমাদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে এতটা কঠোর পরিশ্রম করছে।”
নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে তারা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে সমস্ত ভোটার, তাদের অবস্থান নির্বিশেষে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। “আমরা কাউকে পিছনে ফেলে যেতে চাই না,” তিনি বলেছেন। “এই নৌকা ভ্রমণগুলি নিশ্চিত করবে যে প্রত্যেকে তাদের ভোট দিতে পারে।”
মাজুলিতে ভোটগ্রহণ ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন
মরু রাজ্য রাজস্থানের বিকানেরে ভোটের সরঞ্জাম বিতরণের একটি কেন্দ্রে জলের পাত্র থেকে জল পান করছেন নির্বাচনী কর্মীরা
গরমের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে জল সংকট দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি নির্বাচনী কর্মীদের জন্যও কঠিন হয়ে পড়েছে, যারা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন ভোটারদের তালিকা বিতরণ এবং ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে।
মরু রাজ্য রাজস্থানের বিকানের জেলার একটি ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ কেন্দ্রে কর্মীদের জলের পাত্র থেকে জল পান করতে দেখা গেছে। এই ঘটনাটি ভিডিওতে ধারণ করা হয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কর্মীরা একটি প্লাস্টিকের পাত্রে জমা জল থেকে পানি পান করছেন।
এই ঘটনার পরে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। তারা ওই কেন্দ্রে দ্রুত জল সরবরাহ করে এবং কর্মীদের জন্য ঠান্ডা পানি এবং শরবতের ব্যবস্থা করে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে যে তারা ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে নজর রাখবে।
এই ঘটনাটি ভারতের জল সংকটের তীব্রতার দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করে। নির্বাচনী কর্মীরা যারা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন তাদের জন্য পর্যাপ্ত জল সরবরাহ করা গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন এবং সরকারকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
নির্বাচনকর্মীরা ভোটের সরঞ্জাম নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন
ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে
আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি পূর্ণতায়। আজ সকালে নির্বাচনকর্মীরা প্রয়োজনীয় ভোটগ্রহণের সরঞ্জাম নিয়ে নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে রওনা হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের আগে সকল সরঞ্জাম যথাযথভাবে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
নির্বাচন কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও, র্যাপিড অ্যাকশন বাহিনী (RAB) ও গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরাও নজরদারি করছেন।
নির্বাচনকর্মীদের নির্দেশিকা
নির্বাচন কমিশন নির্বাচনকর্মীদের জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, তাদের নিরপেক্ষভাবে ও দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে হবে। কোন প্রার্থীর পক্ষে কিংবা বিপক্ষে কোনও কাজ করা যাবে না।
প্রথম পর্বের নির্বাচনের এক দিন আগে ভোটের সরঞ্জাম বিতরণ: রাজস্থানের বিকানের থেকে রিপোর্ট
বিকানের, রাজস্থান, ভারত: আগামীকালের প্রথম পর্বের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে।
রাজস্থানের বিকানের জেলার একটি বিতরণ কেন্দ্রে, নির্বাচনী কর্মীরা ভোটার ভেরিফাইয়েবল পেপার অডিট ট্রেইল (ভিভিপিএটি) মেশিন এবং অন্যান্য ভোটিং সরঞ্জাম সাজিয়ে রাখছেন।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে তোলা এই ছবিতে, একজন কর্মী সাবধানে একটি ভিভিপিএটি মেশিন একটি টেবিলে রাখছেন। মেশিনটি ইতিমধ্যেই পরীক্ষা করা হয়েছে এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। টেবিলে আরও কিছু ভিভিপিএটি মেশিন, ব্যালট পেপার এবং অন্যান্য ভোটিং সরঞ্জাম রয়েছে।
কর্মীরা নিশ্চিত করছেন যে সবকিছু ঠিকঠাকভাবে সাজানো হয়েছে এবং আগামীকাল ভোটারদের কোন সমস্যা হবে না। নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করেছে যাতে ভোটিং সরঞ্জামগুলি নিরাপদ থাকে।
প্রথম পর্বের নির্বাচন ২০ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। এই পর্বে, રાજস্থানের 20 টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটদান হবে।
নির্বাচন কমিশন আশা করছে যে ভোটাররা উৎসাহের সাথে ভোটদান করবেন এবং নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
রাজস্থান রাজ্যের একটি কলেজ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা সমবেত হয়েছেন
গতকাল, রাজস্থান রাজ্যের [কলেজের নাম] কলেজ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) ব্যবহার করে ভোট গ্রহণের জন্য কর্মীরা সমবেত হয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশন (EC) নিশ্চিত করেছিল যে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় তার জন্য সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। EVM গুলো সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের একটি দল উপস্থিত ছিল। ভোটারদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন প্রচারণা কর্মসূচিও চালিয়েছিল।
ভোটগ্রহণের দিন, ভোটাররা সকালে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের ভোট দিতে। EVM ব্যবহার করে ভোট দেওয়া সহজ ছিল বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।
নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করেছিল। ভোটগ্রহণের সময় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে খবর পাওয়া যায়নি।