এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪
সাম্প্রতিক সময়ে, বাংলাদেশে এইচপিভি (হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস) টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হতে যাচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। পোস্টারে উল্লেখিত তথ্য অনুসারে, এই কার্যক্রমটি আগামী ২৪ অক্টোবর, ২০২৪ থেকে শুরু হবে এবং এটি ঢাকা বিভাগসহ দেশের অন্যান্য ৭টি বিভাগের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত হবে।
এইচপিভি টিকাদানের গুরুত্ব
এইচপিভি হলো এমন একটি ভাইরাস যা মূলত নারীদের জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইউনিসেফের মতে, এই টিকা সময়মতো গ্রহণ করলে ভবিষ্যতে ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় এই টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে, যাতে দেশের তরুণ প্রজন্মকে ক্যান্সারমুক্ত ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়া যায়।
ক্যাম্পেইনের সময়সূচি ও লক্ষ্য
এই কর্মসূচি ৫ম শ্রেণি থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিচালিত হবে। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের বিশেষভাবে এই টিকা প্রদান করা হবে, যা বিদ্যালয়সমূহের মাধ্যমে সরাসরি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
নিবন্ধন পদ্ধতি
টিকা গ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। এতে জন্মসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। প্রাথমিকভাবে অভিভাবকদেরকে সচেতন করা হচ্ছে যাতে তারা সময়মতো তাদের সন্তানের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেন।
সহযোগী প্রতিষ্ঠান
এই উদ্যোগের পেছনে রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), ইউনিসেফ, এবং গ্যাভি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার টিকাদান কর্মসূচি সফল করার জন্য আন্তর্জাতিক মানের সহায়তা পাচ্ছে।
এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৪ হলো একটি সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ, যা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জরায়ু ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে। সবার সহযোগিতা এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমরা এই উদ্যোগকে সফল করে তুলতে পারি। তাই দেরি না করে, আজই www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করুন এবং আপনার সন্তানের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করুন।
স্লোগান:
“এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ু ক্যান্সার মুক্ত জীবন গড়ুন।”
Post Comment